1












































































ShareThis Copy and Paste

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩

মুক্তাগাছায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার :মুক্তাগাছা এডিপি ও সাউথ এডিপি ওয়ার্ল্ডভিশনের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল স্থানীয় নন্দীবাড়ী অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠনের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ওয়ার্ল্ড ভিশনের স্বাস্থ্য কোÑঅর্ডিনেটর ডা. জয়ন্ত কুমার নাথ, মুক্তাগাছা এডিপি ম্যানেজার ইউজিন রড্রিক্স, সাউথ এডিপি ম্যানেজার রাজু উইলিয়াম রোজারিও, ডিভিশনাল ডিএমই মোক্তাদির ইসলাম খান রাজিব, মনিটরিং অফিসার সাখাওয়াত হোসেন, মিজানুর রহমান, সমাজ সেবিকা মলিনা রানী দত্ত, এনজিও প্রতিনিধি মজিবুর রহমান, শিক্ষক শামছুদ্দিন আহমেদ সেলিম প্রমুখ। কর্মশালায় অংশ নেন ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার, কমিউনিটি কনভার্সেশন, শিশু ফোরাম ও সরকারি-বেসরকারি, এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকগণ। কর্ম পরিকল্পনায় শিশু অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, বাল্য বিবাহ রোধসহ নানা সমস্যা প্রাধান্য পায়।

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ময়মনসিংহের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতেই দলীয়ভাবে অসংগঠিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি


ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহ-২-ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার বিরোধী দলের সাড়ে ৪ বছরে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলেন না। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই সাবেক এই সাংসদ হঠাৎ করেই মনোনয়নমুখী রাজনীতি শুরু করেছেন। আন্দোলন ভুলে শাহ শহীদ সারোয়ারের মতো দলীয় অন্য ক্যান্ডিডেটদেরও মনোনয়ন নিয়ে কাড়াকাড়িতে দলীয় পরিমণ্ডলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সচেতন মহলেও রয়েছে এ নিয়ে নানা জল্পনা। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের ভিত কাঁপিয়ে তোলার পরিবর্তে জোরেশোরে নির্বাচনী গণসংযোগ সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না। সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-১-হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া আসনে বিএনপি নিজেকে গোছাতে পারেনি। এখানে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে পারেননি বিএনপি’র ৩ প্রভাবশালী নেতা আফজাল এইচ.খান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তারা ব্যস্ত নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে। ময়মনসিংহ-৩-গৌরীপুর আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে তীব্র বিরোধ থাকলেও বিএনপি দাঁড়াতে পারছে না এই আসনে। রাজনীতিক ও সাবেক জনপ্রিয় সাংসদ এ.এফ.এম.নজমুল হুদার শূন্যতায় বিএনপিতে গ্রুপিং-কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ আসন থেকেও স্থানীয় বিএনপি নেতা হাফেজ আজিজুলসহ কোনো কোনো নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত সাড়ে ৪ বছরে একদিনের জন্যই মাঠে সোচ্চার না হলেও হঠাৎ করেই নিজেদের ব্যানার-ফেস্টুনে নির্বাচন করার ‘খায়েশ’ ব্যক্ত করেছেন— এমনই ক্ষুব্ধ মন্তব্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র দ্বিধাবিভক্তির মূলে রয়েছে ময়মনসিংহ-৪-সদর আসন। সংগঠনের সভাপতি সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম.মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ দু’জনেই মনোনয়ন প্রত্যাশী। ব্যানার-ফেস্টুনের রাজনীতিতে অবশ্য এগিয়ে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সব সময়ই দলের চেয়ে মনোনয়ন রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতে পটু সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। এ কারণে দল সুসংগঠিত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য তাদের। মুক্তাগাছায় বিএনপি ভুগছে নেতার সঙ্কটে। গত সংসদ নির্বাচনে ভোট রাজনীতির মাঠে ‘অপরিপক্ক’ ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু ওরফে ক্লাসিক বাবলু ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন রাজনীতিতে নতুন মুখ কাজী খালিদ বাবু’র কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। এ অবস্থায় দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ফের এ আসনে মনোনয়ন দেবার জোর দাবি তুলেছেন। ময়মনসিংহ-৬-ফুলবাড়িয়া আসনের সর্বত্রই নব্য রাজনীতিক আখতারুল আলম ফারুকের নির্বাচনী প্রচারণা চোখে পড়ে। আগে কখনো রাজনীতিতে ছিলেন না, অথচ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছেন। আন্দোলনের মাঠে তাকে কখনোই দেখা যায়নি, এমন অভিযোগ দলটির নেতা-কর্মীদের। ময়মনসিংহ-৮-ঈশ্বরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবির শাহীন হঠাৎ নির্বাচনমুখী রাজনীতি শুরু করেছেন। ঘটা করে ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েও ঈশ্বরগঞ্জে এ পর্যন্ত একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেননি তিনি। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তার ‘এলাকাপ্রীতি’ অনেকের মাঝেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ময়মনসিংহ-১১-ভালুকা আসনে বিএনপিতে মনোনয়ন চাইছেন এক নতুন মুখ। কথিত আছে, মোর্শেদ আলম নামের এ প্রার্থী ‘টাকার কুমির’। ইতোমধ্যেই ভাগিয়ে নিয়েছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ, আর সেটা নেহায়েতই টাকার জোরে বলে মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সবমিলে ময়মনসিংহের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতেই দলীয়ভাবে অসংগঠিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়কসহ নানা কেন্দ্রীয় ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা না দেখিয়ে এখন নির্বাচনী প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়েছেন দলটির অধিকাংশ নেতা।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ভাংচুর অগ্নিসংযোগ স্টার নিউজ রিপোর্ট »শিক্ষা a A undefinedময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামের নাম পরির্বতনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা এবং আগামী সুবর্ন জয়ন্তীতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য না থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হামলা ভাংচুর, বিক্ষোভ ও অগ্নি সংযোগ করেছে ছাত্রলীগ। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামের নাম পরির্বতন ও সুর্বন জয়ন্তীকে দলীয় করনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সূর্বন জয়ন্তী বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও ড্যাব নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও এসব অভিযোগে সাবেক শিক্ষার্থী ও ড্যাব নেতৃবৃন্দ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। এরপর বর্তমান মেডিকেল কলেজের প্রশাসন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামের নাম পরির্বতন সিদ্ধান্ত স্থগিত করে সকলের অংশগ্রহনে সুবর্ন জয়ন্তী সফল করার লক্ষে সাবেক শিক্ষার্থী ও ড্যাব নেতৃবৃৃন্দের সাথে সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ছাত্রলীগ। ফলে গতকাল রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামের নাম পরির্বতন করে ছাত্রলীগ নেতা রাইসুল হাসান নোমান এর নামে নামকরন করার দাবীতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাংচুর করে ও ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনিদিষ্টকালের র্ধমঘটের ডাক দেয় এবং বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ আছে বলে লিখিত ভাবে প্রেস রিলিজ প্রদান করে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, সামনে সুবর্ন জয়ন্তীতে বিভিন্ন কমিটি উপ কমিটি হচ্ছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ কিছু দাবী দাওয়া রয়েছে। এর জের ধরেই তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে এবং ২/১টি ফুলের টব ভাংচুর করেছে। স্টার নিউজ ২৪ ডট কম/মনোনেশ দাস/ময়মনসিংহ এই রিপোর্ট পড়েছেন 26 - জন শিক্ষা, শীর্ষ নিউজ এর আরো খবর » সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান সেনা কর্মকর্তাদের ঈদের আগেই আন্দোলনে নামছেন সরিষাবাড়ীর ৪ শতাধিক মাদরাসার শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত জাবিতে আন্দোলন স্থগিত, উপাচার্য মুক্ত জাহাঙ্গীরনগরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মঘট বৃহস্পতিবার থেকে চবিতে ঈদের ছুটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সভা, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম প্রসঙ্গে তোপের মুখে উপাচার্য রাবিতে দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে তরুণরাই বড় হাতিয়ার- শিক্ষামন্ত্রী বরগুনা পলিটেকনিকে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ

মনোনেশ দাস জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক পুণ:নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন

undefinedময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ০৩ আগস্ট (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর গর্ব স্বনামধন্য গ্রামীণ সাংবাদিক মনোনেশ দাসকে জাতীয় নাগারক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পুন: নির্বাচিত করায় দলটির সভাপতি, গোপাল গঞ্জের কৃতি সন্তান শিল্পপতি ইজ্ঞিনিয়ার আলী আযম এবং মহাসচিব, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সম্পাদক স,আম,ম,ইলিয়াসকে শুভেচ্ছা জানান বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী। আজ বুধবার বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর পক্ষে অভিনন্দন জানান, সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, প্রবীণ আইনজীবী এড,অনিল ঘোষ,অধ্যাপক আশিষ রায়,এড.আসলাম,অধ্যাপক শামছুল হক,সাংবদিক নজরুল ইসলাম, এড,এম মাহবুব আলম খান,ডা.জোøা মাহবুব খান.ডা.হাসান আলী খান, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার, এড.স্বপন দে , সাবেকপিপি এড.আবুরেজা ফজলুল হক বাবলু,নান্দাইলের সাংবাদিক বাবুল এড.মকবুল হোসেন,ফুলবাড়িয়ায় সাংবাদিক কালাম , এড.শ্যাল দত্ত,ভালুকায় , সাংবাদিক কামরুজ্জামান মানিক,গফরগাঁওয়ের সাংবাদিক আতাউর রহমান মিন্টু,কামরুজ্জামান লিটন,ঈশ্বরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা আঃহাই, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম,হালুয়াঘাটের অধ্যাপক মন্টু,অধ্যাপক সাংবাদিক শামছুল ইসলাম পনির,ফুলপুরের ব্যবসায়ী তপন রায়,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম,ধোবাউড়ায় অধ্রাপক পরিমল দাস,সাংবাদিক মতিলাল সরকার,ত্রিশালে সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, মধুপুরের অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন,টাঙ্গাইলের অধ্যাপক উৎপল সিংহ,নেত্রকোনার সাংবাদিক শ্যমলেন্দু পাল, জামালপুওে এড.জয়ন্ত দেব,সাংবাদিক মেঅশাররফ হোসেন,আতাউর রহমান মিন্টু,কিশোরগঞ্জের সাংবাদিক সুবীর বসাক,শেরপুরের অধ্যাপক সুধাময় দাসপ্রমুখ। উল্লেখিতরা সাংবাদিক মনোনেশ দাসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের কলম সৈনিক জন মানুষের নেতা মনোনেশ দাস আরও এগিয়ে যাক একামনা করি। মনোনেশ দাস বলেন, গণতন্ত্রেও নামে চলছে প্রহসন। বতৃমান রাজনৈতিক পদ্ধতিতে কোন নির্বচিত প্রতিনিধিই গণ মানুষের নিকট দায়বদ্ধ নয়। এতে জনগণ হতাশাগ্রস্থ।আর্থ সামাজিক , রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ দেশদরদী মেধাবী নেতৃত্বের। Digg This Reddit This Stumble Now! Buzz This Vote on DZone Share on Facebook Bookmark this on Delicious Kick It on DotNetKicks.com Shout it Share on LinkedIn Bookmark this on Technorati Post on Twitter Google Buzz (aka. Google Reader)

ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায়


TOP Ajkerbangladesh24.com প্রচ্ছদ শীর্ষ সংবাদ জাতীয় রাজনীতি অর্থ ও বাণিজ্য খেলাধুলা তথ্য প্রযুক্তি খোলাকলম পরিবেশ লাইফ স্টাইল সাক্ষাৎকার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রবাসীর কথা শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনোদন শেয়ার বাজার ঢাকা চট্রগ্রাম খুলনা বরিশাল রংপুর রাজশাহী সিলেট Tuesday, September 3, 2013 12:06:19 AM FB Twitt G+ RSS Bangla Font Home অর্থ ও বাণিজ্য ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায় ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায় 6:03 am, March 27th, 2013 মনোনেশ দাস ,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের মুক্তাগাছা,ফুলবাড়িয়া,ভালুকা, মধুপুর,ঘাটাইল ও সখিপুর উপজেলায় ৫ হাজার একরে লেবুর আবাদ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার লেবুর সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। প্রায় গৃহস্থের বাড়ির গাছেই প্রচুর লেবু । এখানকার মাটি লেবু চাষের খুবই উপযোগী । স্থানীয় চাষীরা পারিবারিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে লেবু উৎপাদন করে থাকে। লেবু চাষের উন্নয়নে এ এলাকায় সরকারী তথা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগ নজরে পড়ে না । এই অঞ্চলে অনুন্নত রাস্তাঘাট , সংরণ সুবিধার অভাব , ফড়িয়া বা দালালদের কারণে লেবুর সঠিক মূল্যও চাষীরা পাচ্ছেন না। স্থানীয় চাষী, আনোয়ার, বিল্লাল, হোসেন, আবুল, রহমত, অর্জুন, শ্যামল, হোসেন,কিসমত জানান, বাজারে প্রতিহালি লেবু ৪ থেকে ৮/১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও তারা মাত্র ২/৩ টাকা হালি দরে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন ফড়িয়াদের নিকট। অপরদিকে লেবু সঠিক সময়ে বিক্রি করতে না পারলে পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় । চাষীরা লেবু সরাসরি বিক্রি করতে না পারার সুযোগ নিয়ে ফড়িয়া বা দালাল নামধারী একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগীর সৃষ্টি হয়েছে । এরা চাষীদের নিকট থেকে কমমূল্যে লেবু ক্রয় করে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। । গাছ প্রতি লেবুর ফলন ২শ” থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত । বীজ থেকে চারা তৈরী করে এবং কলমের মাধমে লেবুর বংশ বিস্তার করেন বলে চাষীরা জানান ।

ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায়


TOP Ajkerbangladesh24.com প্রচ্ছদ শীর্ষ সংবাদ জাতীয় রাজনীতি অর্থ ও বাণিজ্য খেলাধুলা তথ্য প্রযুক্তি খোলাকলম পরিবেশ লাইফ স্টাইল সাক্ষাৎকার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রবাসীর কথা শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনোদন শেয়ার বাজার ঢাকা চট্রগ্রাম খুলনা বরিশাল রংপুর রাজশাহী সিলেট Tuesday, September 3, 2013 12:06:19 AM FB Twitt G+ RSS Bangla Font Home অর্থ ও বাণিজ্য ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায় ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের চাষীরা নিজ উদ্যোগেই লেবু ফলায় 6:03 am, March 27th, 2013 মনোনেশ দাস ,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গড় অঞ্চলের মুক্তাগাছা,ফুলবাড়িয়া,ভালুকা, মধুপুর,ঘাটাইল ও সখিপুর উপজেলায় ৫ হাজার একরে লেবুর আবাদ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার লেবুর সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। প্রায় গৃহস্থের বাড়ির গাছেই প্রচুর লেবু । এখানকার মাটি লেবু চাষের খুবই উপযোগী । স্থানীয় চাষীরা পারিবারিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে লেবু উৎপাদন করে থাকে। লেবু চাষের উন্নয়নে এ এলাকায় সরকারী তথা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগ নজরে পড়ে না । এই অঞ্চলে অনুন্নত রাস্তাঘাট , সংরণ সুবিধার অভাব , ফড়িয়া বা দালালদের কারণে লেবুর সঠিক মূল্যও চাষীরা পাচ্ছেন না। স্থানীয় চাষী, আনোয়ার, বিল্লাল, হোসেন, আবুল, রহমত, অর্জুন, শ্যামল, হোসেন,কিসমত জানান, বাজারে প্রতিহালি লেবু ৪ থেকে ৮/১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও তারা মাত্র ২/৩ টাকা হালি দরে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন ফড়িয়াদের নিকট। অপরদিকে লেবু সঠিক সময়ে বিক্রি করতে না পারলে পচে গলে নষ্ট হয়ে যায় । চাষীরা লেবু সরাসরি বিক্রি করতে না পারার সুযোগ নিয়ে ফড়িয়া বা দালাল নামধারী একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগীর সৃষ্টি হয়েছে । এরা চাষীদের নিকট থেকে কমমূল্যে লেবু ক্রয় করে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। । গাছ প্রতি লেবুর ফলন ২শ” থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত । বীজ থেকে চারা তৈরী করে এবং কলমের মাধমে লেবুর বংশ বিস্তার করেন বলে চাষীরা জানান ।

ময়মনসিংহে হাতে তৈরী কাগজের সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি


মনোনেশ দাস,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের মুক্তাগায় হাতে তৈরী কাগজের সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি(এমসিসি) , জালাল নগর ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট(জেএনডিপি) নামের দেশী ও বিদেশী কোম্পানী ঘোগা ইউনিয়নের কালিবাড়ি এবং শহরের লীখোলায় স্থানীয় মহিলা শ্রমিক দিয়ে কাগজ ও কাগজের সামগ্রী তৈরী করছে। হাতে তৈরী করা হচ্ছে দাওয়াতপত্র, শপিং ব্যাগ, ড্রইং পেপার, র‌্যাপিং ব্যাগ,ফটোফ্রেম, ল্যাম্প শেড ছাড়াও বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য। বিদেশে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশেও বাড়ছে এর চাহিদা । কারখানা কর্তৃপ জানান, কাগজ তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে কলাগাছ, আনারসের ডাটা,খড়, পাট,ছন,গমের ডাটা, কচুরিপানা । এইসব দিয়ে মন্ড তৈরী করে ছাকনা দিয়ে ঢেকে ফরমার উপর দিয়ে রোদে শুকিয়ে এই কাগজ তৈরী করা হয়। পরে ডিজাইনারের নকশা অনুযায়ী পণ্য তৈরী হয় । জাপান,জার্মান,আমেরিকা,অষ্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে অর্ডার পাওয়া যায় বলে কারখানা সূত্র জানায়। ২ শতাধিক মহিলার কর্মসংস্তান সৃষ্টি হয়েছে এখানে। জেএডিপির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী খসরু জানান, ফেলে দেওয়া জিনিষ নাম মাত্র মূল্যে সংগ্রহ করা হয় ।

মুক্তাগাছার মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে


মনোনেশ দাস,ময়মনসিংহ : বিলুপ্তপ্রায় মুক্তাগাছার মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে। পালদের মাঝে দিখা দিয়েছে আশার আলো।মাটির হাঁড়ি-পাতিলের চাহিদা ও কদর বেড়েছে। এ শিল্পে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তৈরী হচ্ছে ডিসকো পাতিল রেল ও সড়কপথে যাচ্ছে ঢাকা , চট্রগ্রাম,টাঙ্গাইল,জামালপুর,নেত্রকোনা,শেরপুর,সিলেট জেলার বিভিন্ন অঞ্চেলে।এই অঞ্চলে মৃৎশিল্পের জন্য খ্যাত মুক্তাগাছার বাশাটি,তারাটি,ঈশ্বরগ্রাম,দুল্লা,দাওগাও,কুমারগাতা,ঘোগা,কাশিমপুর,খেরুয়াজানী,দনালিখালি,পিয়ারপুর এলাকার বিভিন্নগ্রাম।কথা হয় এসব গ্রামের পাল পরিবারের সাথে। তারা জানান, বছর দশেক হলো , তাদের ব্যাবসার পালে হাওয়া লেগেছে, ফিরে পেয়েছে তাদের প্রায় হারানো বাপ দাদার ব্যবসা।তাদের তৈরী পণ্যের দাম ও কদর বেড়েছে। প্রতিদিন পাইকাররা আসঠে উপরোক্ত অঞ্চল থেকে। আধুনিক মডেলের হাঁড়ি-পাতিল যায় ট্রেন,ট্রাক ও নৌকা-লঞ্চে।গাজীপুরের পাইকার হামিদ মিয়া জানান, তাদের এলাকায় গরীব ও মাঝারি আয়ের গ্রামের লোকজনের মধ্যে মাটির হাঁড়ি পাতিলের আগে থেকেই চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ভালো হওয়ায় এ আধুনিক জাতের মাটির তৈজসপত্রের চাহিদা বেড়েছে।দাম এখানেও বেশি । আগের প্রতি ২শ”পিস মাল এখন ২/৩ টাকার স্থলে ১/দেড় হাজার টাকায় খরিদ করতে হয়। এলাকায়ও বিক্রি হয় চড়া দামে।এছাড়া ডিসকো জাতের পাতিল ও তৈজসপত্র প্রতি ১শ” পিস আড়াই হাজার টাকায় পাইকারী বিক্রি হচ্ছে।কথা হলো বনবাংলা গ্রামের সন্তোষ,হরিপদ পালের সাথে । নিজে জিনিস তৈরী করেন ও গ্রাম এবং হাট-বাজাওে বিক্রি করেন।তারা জানান, এখন আর আমাদের হাটে বা গ্রামে ঘুরে মাল বিক্রি করতে হয় না , দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার এসে জিনিস নিয়ে যায়।এখন আর চাহিদামতো মাল সরবরাহ দেয়া যায় না। অথচ ১০ বছর আগে সপ্তাহে ২/১ জন পাইকার পাওয়া যেত না । বড় দুর্দিন ছিল আমাদের। রাস্তাঘাটই আমাদেও ভাগ্য বদলে দিয়েছে। কুমার/পালরা জানান, বর্তমানে এ শিল্পের সমস্যা হলো রং ও জ্বালানী সংকট। এ শিল্পের রং বলতে এক ধরনের মাটি, যা আমদানী করতে হয় অন্য অঞ্চল থেকে ।অত্রাঞ্চলে পাওয়া যায় না ।আগের দিনে রং কিনতে তেমন পয়রসা লাগতো না । এখন তা ৮০/৯০টাকা দরে কিনতে হয়।এ ক্ষেত্রে যাতায়াত খরচ লেগে যায়। Tweet Pin It Tag ময়মনসিংহে বিলুপ্ত প্রায় মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে « আগের সংবাদ পরের সংবাদ » মন্তব্য করার জন্য অবশ্যই আপনাকে Log in করতে হবে. এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান কোরবানি ঈদে দাম বাড়বে না মসলার সোনালী আঁশ পাটের সুদিন সিংড়ায় ফিরে এসেছে কুমিল্লায় পেঁয়াজের দাম লাগামহীন বান্দরবানের পাহাড়ে আনারসের বাম্পার ফলন কাঁচামরিচের উপর শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত এনবিআর টেকনাফ পৌরসভার ১৪কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ ৬ আগস্ট গার্মেন্টস এলাকায় তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা কুমিল্লা লালমাই কোটবাড়ি পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশঝাড় ইফতারি, ফল ও খাদ্যের ৮২ শতাংশই ফরমালিন ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার মাল্টিপারপাস সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে বেনাপোলে বানিজ্যিক ভাবে এলাচ (মসলা) চাষ শিক্ষা ও সাহিত্যে সম্মাননা পাচ্ছেন অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ আরো ৯ টি বীমার লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে  আমাদের যত আয়োজন ... প্রচ্ছদ অর্থ ও বাণিজ্য আন্তর্জাতিক খেলাধুলা খোলাকলম গণমাধ্যম জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি পরিবেশ প্রধান সংবাদ প্রবাসীর কথা ফটো সংবাদ বিনোদন বিভাগ খুলনা চট্রগ্রাম ঢাকা বরিশাল রংপুর রাজশাহী সিলেট ভিডিও সংবাদ রাজনীতি লাইফ স্টাইল শিক্ষা-সংস্কৃতি শীর্ষ সংবাদ শেয়ার বাজার সংবাদ শিরোনাম সাক্ষাৎকার সারা দেশ Pixmela প্রকাশক: মো: রাসেল, প্রধান সম্পাদক আলমগীর হোসেন সম্পাদক: কাজী শামীম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আসাদুজ্জামান মুরাদ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়: জি এম টাওয়ার, চতুর্থ ফ্লোর ১৫০ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ। নিউজ ডেস্ক : টেলিফোন +৮৮ ০২৯১১৪৯১১ +৮৮ ০১৭৩ ৩১৬ ৭১০১, +৮৮ ০১১৯ ৮২৭২৪১০ ইমেইল: ajkerbangladesh24@gmail.com(নিউজ ডেস্ক) addab24@gmail.com (বিজ্ঞাপন বিভাগ ) © 2013 Ajkerbangladesh24.com. এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। Design by: Arefin শিরোনাম ড. ইউনূস স

মুক্তাগাছার মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে


মনোনেশ দাস,ময়মনসিংহ : বিলুপ্তপ্রায় মুক্তাগাছার মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে। পালদের মাঝে দিখা দিয়েছে আশার আলো।মাটির হাঁড়ি-পাতিলের চাহিদা ও কদর বেড়েছে। এ শিল্পে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তৈরী হচ্ছে ডিসকো পাতিল রেল ও সড়কপথে যাচ্ছে ঢাকা , চট্রগ্রাম,টাঙ্গাইল,জামালপুর,নেত্রকোনা,শেরপুর,সিলেট জেলার বিভিন্ন অঞ্চেলে।এই অঞ্চলে মৃৎশিল্পের জন্য খ্যাত মুক্তাগাছার বাশাটি,তারাটি,ঈশ্বরগ্রাম,দুল্লা,দাওগাও,কুমারগাতা,ঘোগা,কাশিমপুর,খেরুয়াজানী,দনালিখালি,পিয়ারপুর এলাকার বিভিন্নগ্রাম।কথা হয় এসব গ্রামের পাল পরিবারের সাথে। তারা জানান, বছর দশেক হলো , তাদের ব্যাবসার পালে হাওয়া লেগেছে, ফিরে পেয়েছে তাদের প্রায় হারানো বাপ দাদার ব্যবসা।তাদের তৈরী পণ্যের দাম ও কদর বেড়েছে। প্রতিদিন পাইকাররা আসঠে উপরোক্ত অঞ্চল থেকে। আধুনিক মডেলের হাঁড়ি-পাতিল যায় ট্রেন,ট্রাক ও নৌকা-লঞ্চে।গাজীপুরের পাইকার হামিদ মিয়া জানান, তাদের এলাকায় গরীব ও মাঝারি আয়ের গ্রামের লোকজনের মধ্যে মাটির হাঁড়ি পাতিলের আগে থেকেই চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ভালো হওয়ায় এ আধুনিক জাতের মাটির তৈজসপত্রের চাহিদা বেড়েছে।দাম এখানেও বেশি । আগের প্রতি ২শ”পিস মাল এখন ২/৩ টাকার স্থলে ১/দেড় হাজার টাকায় খরিদ করতে হয়। এলাকায়ও বিক্রি হয় চড়া দামে।এছাড়া ডিসকো জাতের পাতিল ও তৈজসপত্র প্রতি ১শ” পিস আড়াই হাজার টাকায় পাইকারী বিক্রি হচ্ছে।কথা হলো বনবাংলা গ্রামের সন্তোষ,হরিপদ পালের সাথে । নিজে জিনিস তৈরী করেন ও গ্রাম এবং হাট-বাজাওে বিক্রি করেন।তারা জানান, এখন আর আমাদের হাটে বা গ্রামে ঘুরে মাল বিক্রি করতে হয় না , দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার এসে জিনিস নিয়ে যায়।এখন আর চাহিদামতো মাল সরবরাহ দেয়া যায় না। অথচ ১০ বছর আগে সপ্তাহে ২/১ জন পাইকার পাওয়া যেত না । বড় দুর্দিন ছিল আমাদের। রাস্তাঘাটই আমাদেও ভাগ্য বদলে দিয়েছে। কুমার/পালরা জানান, বর্তমানে এ শিল্পের সমস্যা হলো রং ও জ্বালানী সংকট। এ শিল্পের রং বলতে এক ধরনের মাটি, যা আমদানী করতে হয় অন্য অঞ্চল থেকে ।অত্রাঞ্চলে পাওয়া যায় না ।আগের দিনে রং কিনতে তেমন পয়রসা লাগতো না । এখন তা ৮০/৯০টাকা দরে কিনতে হয়।এ ক্ষেত্রে যাতায়াত খরচ লেগে যায়। Tweet Pin It Tag ময়মনসিংহে বিলুপ্ত প্রায় মৃৎশিল্পের কদর বেড়েছে « আগের সংবাদ পরের সংবাদ » মন্তব্য করার জন্য অবশ্যই আপনাকে Log in করতে হবে. এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান কোরবানি ঈদে দাম বাড়বে না মসলার সোনালী আঁশ পাটের সুদিন সিংড়ায় ফিরে এসেছে কুমিল্লায় পেঁয়াজের দাম লাগামহীন বান্দরবানের পাহাড়ে আনারসের বাম্পার ফলন কাঁচামরিচের উপর শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত এনবিআর টেকনাফ পৌরসভার ১৪কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ ৬ আগস্ট গার্মেন্টস এলাকায় তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা কুমিল্লা লালমাই কোটবাড়ি পাহাড়ে বাড়ছে বাঁশঝাড় ইফতারি, ফল ও খাদ্যের ৮২ শতাংশই ফরমালিন ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার মাল্টিপারপাস সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে বেনাপোলে বানিজ্যিক ভাবে এলাচ (মসলা) চাষ শিক্ষা ও সাহিত্যে সম্মাননা পাচ্ছেন অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ আরো ৯ টি বীমার লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে  আমাদের যত আয়োজন ... প্রচ্ছদ অর্থ ও বাণিজ্য আন্তর্জাতিক খেলাধুলা খোলাকলম গণমাধ্যম জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি পরিবেশ প্রধান সংবাদ প্রবাসীর কথা ফটো সংবাদ বিনোদন বিভাগ খুলনা চট্রগ্রাম ঢাকা বরিশাল রংপুর রাজশাহী সিলেট ভিডিও সংবাদ রাজনীতি লাইফ স্টাইল শিক্ষা-সংস্কৃতি শীর্ষ সংবাদ শেয়ার বাজার সংবাদ শিরোনাম সাক্ষাৎকার সারা দেশ Pixmela প্রকাশক: মো: রাসেল, প্রধান সম্পাদক আলমগীর হোসেন সম্পাদক: কাজী শামীম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আসাদুজ্জামান মুরাদ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়: জি এম টাওয়ার, চতুর্থ ফ্লোর ১৫০ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা, বাংলাদেশ। নিউজ ডেস্ক : টেলিফোন +৮৮ ০২৯১১৪৯১১ +৮৮ ০১৭৩ ৩১৬ ৭১০১, +৮৮ ০১১৯ ৮২৭২৪১০ ইমেইল: ajkerbangladesh24@gmail.com(নিউজ ডেস্ক) addab24@gmail.com (বিজ্ঞাপন বিভাগ ) © 2013 Ajkerbangladesh24.com. এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। Design by: Arefin শিরোনাম ড. ইউনূস স

পিবিসি সাংবাদিক মনোনেশ দাস আহত

পিবিসি নিউজঃ প্রকাশিত 2013 ময়মনসিংহ উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের মুক্তাগাছার মনতলা এলাকায় একটি সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেলে পিবিসি ২৪ এর ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সাংবাদিক মনোনেশ দাস গুরুতর আহত হয়েছেন । পেশাগত দায়িত্বে যাওয়ার পথে বুধবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে । এই দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত ও আরও ৩ জন আহত হয়েছেন । গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক মনোনেশ দাসকে প্রথমে মুক্তাগাছা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । মনোনেশ দাসের কপাল , গাল , ঠোঁট , ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থান জখম হলে চিকিৎসকগণ দীর্ঘ ৩ ঘন্টা অপারেশন করে তাকে আশংকা মুক্ত করেন । বর্তমানে তিনি তার শ্বশুড়ালয় ময়মনসিংহ শহরের ছোটবাজার দুধমহলন্থ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন । মনোনেশ দাসের আশু সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৩

www.mymensinghbarta.com

 দৈনিক ময়মনসিংহ বার্তা এখন ময়মনসিংহ তথা পৃথিবীর  অন্যতম পাঠক প্রিয় পত্রিকা

গোবরে পোকার প্রিয় ফুল খারমান


  মনোনেশ দাস :  ফুল শুধু সৌরভই ছড়ায় না কোন কোন ফুল দুর্গন্ধও ছড়ায় । এমন একটি ফুলের নাম খারমান ফুল। কচু গোষ্ঠীর এই প্রজাতির গাছটি গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে জন্মে থাকে । দুই থেকে ৫/৬ টি পাতা সমেত গাছটির উচ্চতা বড় জোড় ১০ ইঞ্চি । গ্রীষ্ম-বর্ষাকালে এর ফুল ফোটে । রক্ত বর্ণের একটি মাত্র ফুল মাঝ বরাবর একটি দন্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফুল ফোটার সময়কাল সন্ধ্যা বেলা । রাত যত বাড়তে থাকে ফুলের পচা মাংসের মত দুর্গন্ধের মাত্রা ততই বাড়তে থাকে।
বিজ্ঞানীদের মতে , ফুলের গন্ধ উদ্ভিদ জগতের একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট । ফুলের এই গন্ধ উপকারী পতঙ্গকে আকর্ষণ করে এবং ক্ষতিকারক কীট- পতঙ্গকে দূরীভূত কওে । এক এক ফুলের সৌরভ বা গন্ধ বিশেষ বিশেষ কীটপতঙ্গকে বেশী করে আকর্ষণ করে । উদাহরণ স্বরুপ সর্ষে ফুলে যেমনি মৌমাছি আর প্রজাপতির ভিড় দেখা যায়। তেমনি ছাতিম গাছে রাতে মথ ভিড় করে। খারমানের দুর্গন্ধে যে সব পতঙ্গ আকৃষ্ট হয় তারা সবাই গোবরে পোকা গোষ্ঠীর প্রজাতি।
  খারমানের শাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর । গ্রামে-গঞ্জে এর বেশ কদর রয়েছে । এর ভেষজ গুণও যথেষ্ট।

My-men-sing অর্থাৎ আমার লোকেরা গান গায়

স্টাফ রিপোর্টার :শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সূতিকাগার বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ১৭৮৭ সালের ১মে জেলা হিসেবে জন্মের পর বর্তমান ময়মনসিংহের আদল পায় ১৯৮৪ সালে। উত্তরে গারো পাহাড় ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে গাজীপুর জেলা, পূর্বে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে শেরপুর, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা বেষ্টিত ময়মনসিংহ জেলার ভৌগোলিক পরিবেশ বিচিত্র হওয়ায় বলা হয়। হাওর, জঙ্গল, মইষের শিং-এ নিয়ে ময়মনসিং। ৪,৭৮৭ বর্গমাইলের রত্নগর্ভা এ জেলার প্রাণবন্ত মানুষের পরিচয় পাওয়া যায় এর নামের মাঝেই- My-men-sing অর্থাৎ আমার লোকেরা গান গায়। মহুয়া-মলুয়ার দেশ ময়মনসিংহের পূর্ব নাম ছিল নাসিরাবাদ। মোঘল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধকের নামে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী- কালের বিবর্তনে যা ময়মনসিংহ নামে পরিচিতি লাভ করে। ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। এ নদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন বহু ছবি এঁকেছিলেন। এখানকার বহু স্থাপনায় প্রাচীন নির্মাণ শৈলীর ছোঁয়া রয়েছে। আছে কালের সাক্ষী স্বরূপ ভগ্ন জমিদার বাড়ী। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে এ জেলার ত্রিশাল উপজেলার সাথে। সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ আর বৈচিত্র্যপূর্ণ ময়মনসিংহের জনগোষ্ঠি। ময়মন্সিংহের আয়তন ৪৩৬৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১২টি উপজেলা, ১৩টি থানা, ১০টি পৌরসভা (১টি ক শ্রেণীর, ৭টি খ শ্রেণীর, ২টি গ শ্রেণীর), ১৪৬টি ইউনিয়ন, ২২০১টি মৌজা, ২৭০৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। উপজেলাসমূহের নাম- ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, গৌরীপুর, ত্রিশাল, ধোবাউড়া, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়ীয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, হালুয়াঘাট
ময়মনসিংহের ইতিহাস অতিশয় সমৃদ্ধ। উত্তরে গারো পাহাড়, দক্ষিনে ভাওয়াল মধুপুরের বনাঞ্চল, পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎসারিত মেঘনার জল বেষ্টনী এবং পূর্বে সোমেশ্বরী তিতাস, সুরমা ও মেঘনা নদীর অববাহিকা অঞ্চল, প্রাকৃতিক প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত এই অঞ্চলকে বরাবরই একটি দুর্জেয় অঞ্চল হিসেবে দেখতে পাওয়া যেত। আধুনিক ঐতিহাসিকগণ একমত পোষণ করেন যে, বৃহত্তর ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন বংগরাজ্য। গোড়ার দিকে ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর গড়সহ লালমাটির অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন বংগরাজ্য। হিন্দু রাজাগণের মৌর্য শাসন এর প্রতিষ্ঠা ও পরবর্তী সময় গুপ্ত ও পাল শাসকদের ইতিহাস ময়মনসিংহকে ঘিরে রেখেছে। শেষের দিকে সেন বংশীয় রাজাদের প্রশাসনিক দৌর্বল্যে মুসলমান বাদশাহগণ বাংলায় রাজত্ব কায়েমের প্রভাব ময়মনসিংহেও পড়ে। সিকান্দর শাহ-এর আমল থেকে মোঘল সাম্রাজ্য পেরিয়ে নবাবী আমল, কোম্পানী আমল এবং শেষে পাকিস্তানি শাসন-শোষণে ময়মনসিংহও প্রভাবান্বিত হয়। বিভিন্ন সূত্রে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৩৯টি পরগনার নাম পাওয়া যায়- ময়মনসিংহ, আলাপসিংহ, জাফরশাহী, বনভাওয়াল, পুথুরিয়া, কাগমারী, আন্টীয়া, বড় বাজু, সেরপুর, হাজবাদি, খালিয়াজুরী, জয়নশাহী, কুড়ি খাই, নছরৎশাহী, লতিফপুর, মকিমাবাদ, আটগাও, বলরামপুর, বরিকান্দি, বাউ খন্দ, চন্দ্রপ্রতাপ, ঈদগা, ইছকাবাদ, বায় দোম, সিংধা দরজিবাজ, কাসেমপুর, নিক্লী, সাসরদি, হাউলী, জকুজিয়াল, ইছাপুর, বরদাখতি, পাতিলা দহ, তুলন্দর, ইছপসাহী, হোসেন শাহী, হোসেনপুর, সুসঙ্গ ও নাসিরুর্জিয়াল।
জেলার নাম ময়মনসিংহ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। সলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ, নামটিও আজও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান ’ময়মনসিংহ’ অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম ময়মনসিংহ রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন।
ময়মনসিংহ নামের বিস্তীর্ণ এ জনপদ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্রের লীলাভূমি। এককালে ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ জেলা হিসেবে খ্যাত ময়মনসিংহ পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রয়োজনে বেশ কিছুটা ছোট হয়ে আসে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইল জেলা পৃথক জেলার স্বীকৃতি পাবার পরও ময়মনসিংহ ছিল পাক-ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ময়মনসিংহের ভূ-প্রকৃতিতে একদিকে নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ জলাভূমি-হাওর অঞ্চল, মধুপুর ও ভাওয়ালের বিশাল বনাঞ্চল, ময়মনসিংহ-জামালপুরের সমতল অঞ্চল, শেরপুর-ময়মনসিংহের পাহাড়ি অঞ্চল, টাঙ্গাইলের বিস্তীর্ণ বিলাঞ্চল সহ উর্বর ভূমি- এ জনপদকে দিয়েছে বৈচিত্রের সমাহার। ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্রের কারণে এ অঞ্চলের মানুষের সামাজিক জীবন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবিকা এবং সংস্কৃতি বৈচিত্রপূর্ণ। টাঙ্গাইলের পর পর্যায়ক্রমে জামালপুর (শেরপুরসহ), কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা পৃথক জেলার মর্যাদা পাবার পরও আয়তনের দিক থেকে বর্তমান ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্যতম। এ জেলার উর্বর ভূমি ধান, পাট, সবজি ও রবিশস্য উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী।
জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলাকে দিয়েছে শিক্ষা নগরীর মর্যাদা। দেশের একমাত্র মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, ন্যাশনাল একাডেমী ফর প্রাইমারী এডুকেশন, প্রথম গার্লস ক্যাডেট কলেজ এবং কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এ জেলায় অবস্থিত। এশিয়ার বৃহত্তম- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ সদরে স্থাপিত। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীরা কৃষি ক্ষেত্রে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসেন। আণবিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ সদরেই স্থাপিত। ময়মনসিংহ দেশের প্রাচীনতম শহরগুলোর অন্যতম। এখানে অসংখ্য প্রাচীন স্থাপত্য, পুকুর-দীঘি রয়েছে। জেলা সদরের বুক চিড়ে বয়ে গেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। বৃটিশ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন, পাগলপন্থী বিদ্রোহ, ফকির বিদ্রোহ, টংক আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, ৬৯-এর গণ আন্দোলন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এ অঞ্চলের সাহসী মানুষের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বীকৃতি রয়েছে ইতিহাসের পাতায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে জলছত্র-মধুপুর, ভালুকা, ফাতেমা নগর (কালির বাজার)-এর প্রতিরোধ যুদ্ধ যেমন গুরুত্বপূর্ণ একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ তেলিখালির যুদ্ধ এবং ধানুয়া কামালপুরের যুদ্ধও।
মোট জনসংখ্যা ৪৪,৮৯,৭২৬ জন (২০০১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ ২২,৯৭,৩০২ জন, মহিলা ২১,৯২,৪২৪ জন, মোট খানার সংখ্যা ৯,৬৫,১৫৫টি। মুসলিম ৯৪.৭৩%, হিন্দু ৪.২৫%, খ্রিস্টান ০.৭৫%, বৌদ্ধ ০.০৬%, অন্যান্য ০.২১%। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২৭%; বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনুযায়ী ২০১০ সালের অনুমিত জনসংখ্যা ৫০ লক্ষ।
নদ-নদীর সংখ্যা ২২টি, আয়তন ১১৪৪৫.২০ হেক্টর। নদীর নাম- ব্রহ্মপুত্র, সুতিয়া, ক্ষিরু, সাচালিয়া, পাগারিয়া, নাগেশ্বর, কাচাঁমাটিয়া, আয়মন, বানার, নরসুন্দা, বোরাঘাট, দর্শনা, রামখালী, বৈলারি, নিতাই, কংশ, ঘুঘুটিয়া, সাতারখালী, আকালিয়া, জলবুরুঙ্গা, চৌকা মরানদী, রাংসা নদী ইত্যাদি। বিল ও প্রধান প্লাবনভূমির সংখ্যা ১১৪০টি, আয়তন ৩০৭৬২.০০ হেক্টর। বনভূমি ৩৮৮৬০.৭৩ একর। বালু মহল ১৫টি, আয়তন ৮৭৪.৫০ একর। সাদামাটি মহল ১টি, আয়তন ২৪.৩৩ একর ইত্যাদি।
জেলার শিক্ষার হার ৩৯.১০% (পুরুষ ৪১.০৯%, মহিলা ৩৬.০৩%)। প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট ২৬৮৯টি (তন্মধ্যে সরকারী ১২৪৯টি, বেসরকারী রেজিষ্টার্ড ৬২১টি, আন রেজিষ্টার্ড ২৭টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ৫৬টি, কিন্ডার গার্ডেন ১২৬টি, পরীক্ষণ ১টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২৩৪টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ২৪৩টি, কমিউনিটি ১১৪টি, এনজিও ১৮টি)। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০৫টি, ৯ম শ্রেণীর অনুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ৭২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০৪টি, স্কুল এন্ড কলেজ ১৩টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩১টি, ডিগ্রী কলেজ ২৭টি (সরকারী ৩টি, বেসরকারী ২৪টি), বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ২টি (সরকারী), বিশ্ববিদ্যালয় ২টি (সরকারী), মেডিক্যাল কলেজ ২টি (সরকারী ১টি, বেসরকারী ১টি), ক্যাডেট কলেজ ১টি, চারুকলা ইনষ্টিটিউট ১টি, হোমিওপ্যাথিক কলেজ ১টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১টি, কারিগরী মহাবিদ্যালয় ১টি, ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট ২টি, শারীরিক শিক্ষা মহাবিদ্যালয় ১টি, কামিল মাদ্রাসা ৪টি, ফাযিল মাদ্রাসা ৪৭টি, আলিম মাদ্রাসা ৪২টি, দাখিল মাদ্রাসা ২৯৫টি, আর্ট স্কুল ১টি।
ময়মনসিংহের যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে রেলপথ ও সড়ক পথই প্রধান। জেলার অভ্যন্তরে যাতায়তের জন্য নৌপথেও সামান্য কিছু যোগাযোগ ব্যবস্থার আয়োজন আছে, তবে সে সব যোগাযোগ শুধুমাত্র বর্ষাকালেই কার্যকর থাকে, বছরের অন্য সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণই সড়ক ও রেলপথ নির্ভর হয়ে পড়ে। নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাসের কারণে বর্তমানে নৌপথের ব্যবহার হতাশাব্যঞ্জকভাবে কমে গেছে। তবে বর্ষায় এখনো ধান-পাট নৌপথে পরিবহন করা হয়ে থাকে। ময়মনসিংহের কাচারী খেয়া ঘাট, থানার ঘাট থেকে নৌপথে বাইগনবাড়ি, বিদ্যাগঞ্জ, বালির বাজার, বালিপাড়ায় প্রভৃতি স্থানে যাতায়ত করা যায়।
দীর্ঘকালের হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম শাসনের ঐতিহ্য ময়মনসিংহকে সাংস্কৃতিকভাবে ধনাঢ্য করে গেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যে লালিত হয়ে আসছে এই ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক বন্ধন। যেসব ব্যক্তিত্ব ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন তাঁরা হলেন এখানকার জমিদারবর্গ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক আবুল কালাম শামছুদ্দিন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোক সংস্কৃতিও রূপান্তরিত হয়েছে ঐতিহ্যে। ময়মনসিংহ গীতিকা বিশ্ব দরবারে অলংকৃত করেছে ময়মনসিংহের নিজস্ব পরিচয়। স্বপ্নের নকশী কাঁথায় বোনা হয়েছে এখানকার বাস্তবচিত্রের কাহিনী। মহুয়া মলুয়া থেকে জয়নুল আবেদীনের চিত্র হয়ে উঠেছে বিশ্বময় ময়মনসিংহের গৌরব গাঁথা। ঈশাখাঁর যুদ্ধ বা সখিনা-সোনাভানের কাহিনী বাতাসে ছড়ায় বীরত্বের হৃদয় ছোঁয়া বিরলপ্রভা।
প্রধান প্রধান উৎসব
নবান্ন:
ময়মনসিংহ জেলাতে সুদূর অতীত হতে নতুন ধান উঠা উপলক্ষ্যে নবান্ন উৎসব প্রতি ঘরে ঘরে পালিত হয়ে আসছে। অগ্রহায়ন মাসে নতুন ফসল ঘরে উঠানোর পর ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পরিবেশনের নামই হলো নবান্ন। নবান্নে পিঠা পার্বণের সাথে সাথে পুরনো কিচ্ছা, কাহিনী, গীত, জারি এই সবকে উপজীব্য করে চলে রাত্রীকালীন গানের আসর।
পিঠা উৎসব:
অগ্রহায়ন পৌষের শীতে নবান্নের পিঠা-মিষ্টি উৎসবের সময় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। নানা ধরনের পিঠার মধ্যে রয়েছে তেলের পিঠা, মেরা পিঠা, পাটি সাপটা, মসলা পিঠা, পুলি পিঠা, গুলগুল্যা পিঠা, দই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ কলা পিঠা, চিতল পিঠা, খেজুর রসের পিঠা, নকসী পিঠা ইত্যাদি।
নববর্ষ ও মেলা:
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামাঞ্চলে এখনও শহরের মতো বর্ষবরণের প্রচলন শুরু না হলেও অতিপ্রাচীনকাল হতে এখানে বিরল অথচ লোকজ ঐতিহ্যের দাবী নিয়ে দীপশিখা জ্বালিয়ে বাংলা বর্ষ বিদায়ের এক নীরব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হতো। মেলা উপলক্ষে মহিলারা বাপের বাড়ীতে নাইয়র আসত এবং মেলায় এসে ছোট বাচ্চারা খেলনা, বাঁশি, কিনতো। মেলায় বিভিন্ন রকম সার্কাস, দোলনা খেলা চলতো।
যাত্রা গান:
সাধারনত শীতকালে প্রাচীন লোককাহিনীর উপর ভিত্তি করে যাত্রার আয়োজন করা হয়। এই সব যাত্রা এবং যাত্রাগান কখনো কখনো রাতব্যাপী হয়ে থাকে। যেসব কাহিনী/বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যাত্রা হয় তমধ্যে মহুয়া, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং স্থানীয় ভাবে রচিত বিভিন্ন কাহিনী/উপাখ্যান অন্যতম।
পালা গান:
বর্তমানে পালাগানের আয়োজন হয় না বললেই চলে। তবে পূর্বে বিভিন্ন স্থানে পালাগানের আয়োজন করা হতো।
নৌকা বাইচ:
বর্ষাকালে নদী বা বড় বড় খালগুলি যখন পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তখন বিভিন্ন স্থানে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার আকারে আয়োজিত এসব নৌকা বাইচ অনুষ্ঠান স্থানীয় প্রশাসন এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়।
বিয়ে/জম্মদিন/বিবাহ বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সংক্রান্ত
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতোই সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই ময়মনসিংহ জেলায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে জম্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী পালনের প্রচলন আগে তেমন না থাকলেও ইদানিং মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মাঝে তা ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। বিয়েতে বরের পক্ষ থেকে বরযাত্রী যায় কনের বাড়ীতে। কনের বাড়ীতে বরযাত্রীদের গায়ে রং ছিটিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের, এই নিয়ে ঝামেলাও কম হয় না। বরপক্ষের আনা জিনিস পত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি, সমালোচনা, রসাত্মক আলোচনা চলে কনে পক্ষের লোকজনের মধ্যে। খাওয়া-দাওয়া ও বিয়ে শেষে কনেকে বরের বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়, সেখানে মহিলারা অপেক্ষা করেন ধান, দূর্বা, চিনি ইত্যাদি নিয়ে কনেকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য। পরের দিন বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত দুই-তিন দিন পর বর ও কনে মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যায়, যাকে ‘ফিরানী’ বলা হয়। কয়েক দিন সেখানে থেকে পুণরায় বর নিজের বাড়ীতে ফিরে আসেন।
মুক্তিযুদ্ধঃ
মহান ভাষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ৬ ও ১১ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে উজ্জীবিত ১৯৭০ এর নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রাপ্তির আশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে মনোনীত করার পর থেকেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী নানা অজুহাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করায় প্রতিটি বাঙ্গালী তাদের স্বাধীকার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিভিন্ন প্রকাশ্য ভাষণ ও গোপন নির্দেশের মাধ্যমে গোটা জাতি বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকে। মহান নেতার নির্দেশে জয় বাংলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ময়মনসিংহে গঠিত হয়। ২ মার্চ জয় বাংলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সকাল ১০টায় টাউন হল ময়দানে অভিবাদন জানাবেন বলে আগের দিন থেকে মাইকে ময়মনসিংহ শহরব্যাপী ঘোষণা হতে থাকে। জয় বাংলা বাহিনী প্রধান আবুল হাসেমের নেতৃত্বে জয় বাংলা ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সারিবদ্ধ ভাবে শহর প্রদক্ষিণ করে টাউন হল চত্বরে সমবেত হয়ে আওয়ামী লীগের সংগ্রামী নেতা রফিক উদ্দিন ভূইয়াকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানান। মুহুর্মুহু জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। অভিনন্দন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, নেতাকর্মীদের মধ্যে জনাব শামছুল হক, এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, ইমান আলী, আনন্দমোহন কলেজের ভিপি আব্দুল হামিদ, মতিউর রহমান, আফাজ উদ্দিন, কমর উদ্দিন, এডভোকেট আনোয়ারুল কাদির, সৈয়দ আহমদ, চাঁন মিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
৭ মার্চ ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দানে ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’’। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক আহবানের পরেই বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত হতে থাকে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা, পুলিশ এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যগণ অত্যন্ত গোপনে অস্ত্র চালনা ও রণ কৌশল বিষয়ে শিক্ষা দান করেন।
যারই ধারাবাহিকতায় খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প সংগ্রামী জনতা ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ যুদ্ধে ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল শাহাদৎ বরণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী বিডিআরদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। নিহত পাক সেনাদের লাশ নিয়ে ময়মনসিংহবাসী বিজয় মিছিল করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসেনাদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করা হয়।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন বিডিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক কমান্ডার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ। এ যুদ্ধে আবুল হাসেম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ম হামিদ, এসএম নাজমুল হক তারা, মৃত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (কাদু মিয়া), কেএম শামছুল আলম, শেখ হারুন, খোকন বিডিআর ও পুলিশের সদস্যসহ জয় বাংলা ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অনেক সদস্যই অংশগ্রহণ করেন।
মধুপুর যুদ্ধ
ঢাকা থেকে টাংগাইল হয়ে ময়মনসিংহের দিকে অগ্রসররত পাক সেনাদের প্রতিহত করার জন্য পুলিশ, বিডিআর, ছাত্র-জনতা মধুপুর ব্রীজের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয় এবং প্রতিরোধ যুদ্ধ চালাতে থাকে। ১৩ এপ্রিল মধুপুর যুদ্ধের পর পাকসেনাদের মুহুর্মুহু স্বয়ংক্রিয় ভারী অস্ত্রের আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হঠতে থাকে । এ যুদ্ধে মরহুম সংসদ সদস্য জনাব শামছুল হক, পুলিশ সদস্য কেএম শামছুল আলম, জনাব আবুল হাসেম, জনাব মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, নজরুল ইসলাম দুলাল, মোঃ ফজলুল হক, টেলিযোগাযোগের ২ জন সদস্য জনাব জিল্লুর রহমান ও জনাব আমীর হোসেনসহ জয় বাংলা ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং অনেক মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করে।
ময়মনসিংহে বিমান হামলাঃ
পাক সেনারা মধুপুর এবং গফরগাঁও হয়ে ময়মনসিংহের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে নেতৃবৃন্দসহ ময়মনসিংহ শহরের আপামর জনতা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলে ময়মনসিংহ শহর জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ পাকহানাদার বাহিনী বিমান বাহিনীর সহায়তায় ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালায় এবং ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর পাশে বাসষ্ট্যান্ডে এবং চলাচলরত নৌযানের উপর বিমান হামলা চালায়। এতে করে প্রায় ৭টি বাস ভস্মিভূত এবং কয়েকজন লোক আহত হয়। যার মধ্যে কৃষ্টপুরের শামছুদ্দিন ওরফে সামু মিয়া ছিলেন। অতঃপর ময়মনসিংহ থেকে সড়ক পথে হালুয়াঘাট হয়ে কড়ইতলী সীমান্ত ফাঁড়িতে বিডিআর ও ছাত্র-জনতা সমবেত হতে থাকে। পথিমধ্যে হালুয়াঘাট খাদ্য গুদাম থেকে এক বাস ভর্তি করে খাদ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা কড়ইতলীর ক্যাম্প ত্যাগ করে ২৭ জন বিডিআর ও ১০/১১ জন ছাত্র-জনতা নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে পানিহাটা মিশনের পশ্চিমে গারো হাইড আউট গড়ে তোলে। এখান থেকে মাঝে মাঝে রামচন্দ্রকুড়া, হাতিপাগার, তন্তরসহ বিভিন্ন সীমান্ত ফাঁড়ী ও শত্রু সেনাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। ২৪ মে ১৯৭১ তারিখে অতর্কিতে পাকসেনারা মর্টারের গোলাবর্ষণ করে পানিহাটা মিশন মুক্তিযোদ্ধাদের হাইড আউটে আক্রমণ চালালে ময়মনসিংহ শহরের কৃষ্টপুরের আব্দুল মতিন শহীদ হন । প্রত্যুত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা রামচন্দ্রকুড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমন চালিয়ে পাকসেনাদের হটিয়ে দিয়ে সীমান্ত ফাঁড়ির সমস্ত ঢেউ টিন খুলে এনে নিরাপদ আশ্রয়ের বেড়া সৃষ্টি করে। ২৫ মে পাকিস্তানী বাহিনী অতর্কিতে বেপরোয়া গোলাগুলির মধ্য দিয়ে ভারতের ঢালু নামক স্থানে প্রবেশ করে নিরীহ শরণার্থীদের অকাতরে হত্যা করে। এখানে উল্লেখযোগ্যদের মাঝে নিহত হন বিমান বাহিনীর সদস্য আশফাক এবং জনৈক এম,পি,র সহোদর নিজাম উদ্দিন। এই যুদ্ধের বিডিআর সদস্য ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন আবুল হাসেম, ম হামিদ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, নূরুল ইসলাম, মোঃ লিয়াকত আলী, জিয়াউল ইসলামসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ। এখানে উল্লেখ্য যে, বিএসএফ সুবেদার ত্রিপাল সিংসহ ৯ জন সদস্যকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
নালিতাবাড়ী ব্রীজ ধ্বংসঃ
ইতিপূর্বে কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর ২২ মে ‘৭১ জনাব আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ও বিডিআর সদস্য ফরহাদের সহায়তায় ৪টি কোম্পানীর সম্মিলিত প্রয়াসে রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত অত্যাধুনিক বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে নালিতাবাড়ী ব্রীজটি ধ্বংস করা হয়। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম আবুল হাসেম, বিডিআর সদস্য-সুবেদার ফরহাদ, বিমান বাহিনীর সদস্য আশফাক, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, বাবু মান্নান, বাবু মিজানুর রহমান বিশ্বাস, জিয়াউল ইসলাম, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ আকবর আলী, মোঃ নূরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ ফজলুল হকসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ।
তেলিখালী যুদ্ধঃ
হিট এন্ড রান অর্থাৎ মার এবং পালাও পদ্ধতির পরিবর্তে মার এবং জায়গা দখলে রাখ এই পদ্ধতি গ্রহণ করে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী দীর্ঘ ৭ দিন যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিগ্রেডিয়ার ক্লে ও বিগ্রেডিয়ার সান্ত সিং ৯২ মাউনটেন্ট ডিভিশনের গোলন্দাজ ইউনিট মুক্তিবাহিনীর পক্ষে আবুল হাসেম মূলতঃ যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। যুদ্ধে যাবার একদিন আগে মোঃ সেলিম সাজ্জাদসহ ভারতীয় রাজরীফ (রাজপুত) ব্যাটালিয়ানের বিভিন্ন কোম্পানীতে সংযুক্ত কমান্ডারগণকে যুদ্ধের পরিকল্পনাসহ অন্যান্য করণীয় বিষয়ে অবহিত করেন। পরবর্তীতে যুদ্ধে যাবার পূর্বে স্ব-স্ব কোম্পানীর অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ে যুদ্ধ যাত্রা শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ডি কোম্পানী ১২৫ জন সৈনিক রেঞ্জার্স ও রাজাকারসহ লোকবল ছিল ২৩৭ জন। এ কোম্পানীর অধিনায়ক ছিলেন ক্যাপ্টেন খালেক। অন্য দিকে ভারতীয় ব্যাটালিয়ানের ৫টি কোম্পানীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ২০৪ জন যুক্ত হয়ে ৫টি ভাগে বিভক্ত হয়ে এই বিভীষিকাময় যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে কৃষ্টপুরের আলাউদ্দিন শাহজাহান ওরফে বাদশাহ, পিয়ারপুরের রঞ্জিত গুপ্তসহ ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন। ভারতীয় পক্ষের আনুমানিক ৫৬ জন সৈন্য শহীদ হন। অপর দিকে পাকসেনাদের ১ জন পাকিস্তানী সেনা কেরামত আলী খান ও আত্মসমর্পনকৃত ৩ জন রাজাকার ব্যতীত সকলেই নিহত হন। এখানে উল্লেখ্য যে, এই তিনজন রাজাকারই ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের অধিবাসী। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আবুল হাসেম, মেজবাহ, ওয়াজি উল্লাহ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, আব্দুর রব, আব্দুর রাজ্জাক, আতাউদ্দিন শাহ, আকবর আলী, শামছুল হক বাদল, সেলিম সরকার রবার্ট, ইকরাম হোসেন মানিক, নেকবর আলী খান, ফজলুল করিম খান, দেবল দত্ত, প্রদীপ গুপ্ত, শ্রীধাম দাশসহ ২০৪ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চল স্বাধীন হয়ে পড়ে।
বান্দরঘাটা যুদ্ধঃ
বয়সে তরুন হওয়ার কারণে মোঃ সেলিম সাজ্জাদকে কোম্পানী কমান্ডার থেকে কোম্পানী টু-আই-সিতে নিয়োগ করে তৎস্থলে হাবিলদার জিয়াউদ্দিনকে নিয়োগ করে যুদ্ধের পরিকল্পনা করা হয়। ৫ আগষ্ট ১৯৭১ এর এই যুদ্ধে মূলত নেতৃত্ব দেন জনাব মোঃ আবুল হাসেম। এই যুদ্ধে পরিমলসহ ৩ জন শাহাদৎ বরণ করেন এবং শম্ভূগঞ্জের আব্দুস ছামাদ, মুন্সির হাটের অখিল বাগিতক এবং সরিষাবাড়ীর নূরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, মোঃ আকবর আলী, শামছুল হক বাদল, সেলিম সরকার রবার্ট, ইকরাম হোসেন মানিক, নেকবর আলী খান, ফজলুল করিম খান, আব্দুর রাজ্জাক আহত নূরুল হকের সহোদর তিন ভাইসহ অন্যান্য অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।
গোয়াতলা যুদ্ধঃ
নগোয়ার আব্দুর রশিদকে কোম্পানী কমান্ডার ও মোঃ সেলিম সাজ্জাদকে কোম্পানী টু-আই-সিতে করে ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ ষ্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ১৭ই আগষ্ট ১৯৭১ অপারেশন শেষে ফেরার পথে গোয়াতলা বাজার সংলগ্ন নদীতে নৌকায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের এম্বুসের কবলে পরে। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় সকল অস্ত্রই নদীতে নিমজ্জিত হয়। বাকী কয়েকটি অস্ত্র ও গ্রেনেড দিয়ে প্রায় ৫ ঘন্টা শত্রুদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করে স্থানীয় জনসাধারণদের নিরাপদ আশ্রয়ে প্রেরণ করা হয়। এই যুদ্ধে বাঘমারার ইদ্রিস আলম শাহাদৎ বরণ করেন। মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ, মোঃ আকবর আলী, শামছুল হক বাদল, সেলিম সরকার রবার্ট, ইকরাম হোসেন মানিক, হাসান আহমেদ আনসারী, বাঘমারার নাজিম উদ্দিন, গোয়াতলার মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।
নান্দাইল যুদ্ধঃ
নান্দাইল থানার অন্যতম যুদ্ধ নান্দাইল যুদ্ধ ১৭ নভেম্বর ১৯৭১ এ সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক, ইলিয়াস উদ্দিন ভূইয়া ও জিল্লুল বাকী শাহাদৎ বরণ করেন। একই দিনে থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহনেওয়াজ ভূইয়াসহ ২৭ জন নিহত হন। নান্দাইল উপজেলায় ৩ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তারা হচ্ছেন- আব্দুস ছালাম ভূইয়া (বীর প্রতীক), আনিছুল হক সঞ্জু (বীর প্রতীক) ও আব্দুল জব্বার (বীর প্রতীক)।
এ ছাড়াও ২৭ এপ্রিল ‘৭১ ফুলবাড়ীয়া থানার লক্ষ্মীপুর প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ২৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। তাছাড়া উক্ত থানার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সমূহের মধ্যে রাঙ্গামাটিয়া, আছিম, কেশরগঞ্জ যুদ্ধ অন্যতম।
২৬ জুন ‘৭১ মেজর আফছারের নেতৃত্বে ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধে ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান শহীদ হন। মেজর আফছারের নেতৃত্বে বাটাজোর, বড়চালা, সোনাখালি, পাড়াগাঁও অন্যতম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈচিত্রের লীলাভূমি মনোময় ময়মনসিংহ। এ জনপদের আছে দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সমাজ সংস্কার-শিল্প-সাহিত্য-সাংবাদিকতা-শিক্ষা-রাজনীতি-চিকিৎসাসহ নানা অঙ্গনে কালপরিক্রমায় যুগে যুগে মানুষের অংশগ্রহণ যেমন অনিবার্য ছিলো একইভাবে অংশগ্রহণকারী বিপুল জনগোষ্ঠী থেকে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক’জন ব্যক্তিত্বের পরিচয় নিচে তুলে ধরা হলোঃ
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ জন্ম ১৯২৫, মৃত্যু ৩ নভেম্বর ১৯৭৫। শিক্ষাবিদ-আইনজীবী ও রাজনীতিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরোধা পুরুষ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ১৯৭১-এ তিনি নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী সরকারকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হবার পর ৩রা নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত চার জাতীয় নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
আনন্দ মোহন বসুঃ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭, মৃত্যু ২০ আগস্ট ১৯০৬। জন্মস্থান জয়সিদ্ধি, ইটনা, কিশোরগঞ্জ। পিতা- পদ্মলোচন বসু। শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সমাজসেবক, রাজনীতিক ও সংগঠক।
আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরীঃ জন্ম উনবিংশ শতকের শেষার্ধ। জন্মস্থান বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। রাজনীতিক ও সুবক্তা।
আব্দুল জব্বারঃ জন্ম ১৯১৯, মৃত্যু ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। জন্মস্থান পাঁচুয়া, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ। ভাষা আন্দোলনে শহীদ আব্দুল জববার ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুত্যুবরণ করেন। ২০০০ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
আব্দুল জব্বার শেখঃ জন্ম ১৮৮১, মৃত্যু ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮। জন্মস্থান বনগ্রাম, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ। সাহিত্যিক ও সমাজসেবী। অসংখ্য ধর্মীয় গ্রন্থের রচয়িতা।
আব্দুল হাই মাশরেকীঃ জন্ম ১ এপ্রিল ১৯১৯, মৃত্যু ১৯৯২। জন্মস্থান দত্তপাড়া, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। পিতা- উছমান গনি সরকার। কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও গল্পকার।
খান সাহেব আব্দুল্লাহঃ জন্ম ১৮৯৮, মৃত্যু ১৯৮৩। জন্মস্থান নাওরা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ। পিতা- আলী নেওয়াজ আহম্মদ। লেখক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগঠক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-শুক্রবাসরীয় সাহিত্য সংসদ। ‘মোমেনশাহীর নতুন ইতিহাস’ গ্রন্থের রচয়িতা।
আবুল কালাম শামসুদ্দিনঃ জন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৭, মৃত্যু ৪ মার্চ ১৯৭৮। জন্মস্থান ধানিখোলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ। সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সাহিত্যিক।
আবুল মনসুর আহমদঃ জন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৮, মৃত্যু ১৮ মার্চ ১৯৭৯। জন্মস্থান ধানিখোলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ। পিতা- আব্দুর রহিম ফরাজী। পৈতৃক নাম আহমদ আলী ফরাজী। আইনজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যঙ্গ সাহিত্যিক। পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন।
মোঃ আলতাব আলীঃ জন্ম ১৯০৭, মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০। জন্মস্থান সেহড়া ময়মনসিংহ। পিতা- ডেঙ্গু ব্যাপারী। প্রগতিশীল রাজনীতিক আন্দালনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
কলম আলী উকিলঃ জন্ম ১৯০২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৩। জন্মস্থান ঈশ্বরগ্রাম, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। পিতা মোঃ আলিম উদ্দিন মীর্জা। আইনজীবী সমাজসেবী ও রাজনীতিক। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (১৯৫৪)।
কেদার নাথ মজুমদারঃ জন্ম ২৬ জৈষ্ঠ ১২৭৭, মৃত্যু ৬ জৈষ্ঠ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। পিতা লোকনাথ মজুমদার। লেখক, সংস্কৃতি সংগঠক, সাংবাদিক, ঐতিহ্য অনুসন্ধানী। মৈমনসিংহ গীতিকা’র সংগ্রাহক।
গোলাম সামদানী কোরায়শীঃ জন্ম ৬ এপ্রিল ১৯২৯, মৃত্যু ১১ অক্টোবর ১৯৯১। শিক্ষাবিদ-চিন্তাবিদ-পন্ডিত ও লেখক। শিক্ষক নেতা। প্রগতিশীল চিন্তার পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অসংখ্য গ্রন্থের প্রণেতা।
রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরীঃ জন্ম ১২৬৯, মৃত্যু ২২ চৈত্র ১৩৪৫। মুক্তাগাছার মহৎপ্রাণ জমিদার। তাঁর দানশীলতা কিংবদন্তীতুল্য।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনঃ জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪, মৃত্যু ২৮ মে ১৯৭৬। ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলার মন্বন্তরের আঁকা তার স্কেচসমূহ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করে। বাংলাদেশে তিনি আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ। চারুকলা ইনস্টিটিউট, সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ময়মনসিংহ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রকর। সর্বভারতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে স্বর্ণপদক (১৯৩৮), রকফেলার ফাউন্ডেশন ফেলোশীপ (১৯৫৬-৫৭), পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাইড অফ পারফরমেন্স (১৯৫৯), মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পদক, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় হতে সম্মান্সূচক ডক্টরেটে ভূষিত হন।
ডক্টর জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাঃ জন্ম ১০ জুলাই ১৯২০, মৃত্যু ২৭মার্চ ১৯৭১। জন্মস্থান ময়মনসিংহ সদর, ময়মনসিংহ। শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭১ সালে র ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত হলে জগন্নাথ হলের আবাসিক ভবনে থাকাকালে গুলিবিদ্ধ হন এবং ২৭ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।।